শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রংপুরে সর্বনিম্ন ভোটের দ্বিতীয় রেকর্ড

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুরে সর্বনিম্ন ভোটের দ্বিতীয় রেকর্ড

ভোটারবিহীন রংপুর-৩ উপনির্বাচনের একটি কেন্দ্র

কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন। আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস বলছে, ৫ অক্টোবর এ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ। ভোটের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটের দ্বিতীয় রেকর্ড গড়েছে এ উপনির্বাচন। এ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর আগে ২০১৪ সালে এ আসনে ভোট পড়ে ১৭.৮ শতাংশ। ২০১৪ সালের বিএনপিবিহীন নির্বাচনে এ আসনে জয়ী  হয়েছিলেন এইচ এম এরশাদ। রংপর-৩ (সদর) আসনের ৩০ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এ আসনে ভোট পড়েছিল ৬০.৫ শতাংশ, ’৯৬ সালে ভোট পড়ে ৬৯.৩ শতাংশ, ২০০১ সালে ৭২.৩ শতাংশ, ২০০৮ সালে ৮০.১ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১৭.৮ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ। শতকরা হিসাবে ৩০ বছরের মধ্যে ২০১৪ সালের পরে চলতি উপনির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচন থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ জাতীয় পার্টি ও বিএনপি উভয় দলের প্রার্থীই ছিলেন বহিরাগত। নির্বাচনের পর বিভিন্ন কাজে ডিও লেটার পেতে হলে জনগণকে ঢাকায় যেতে হবে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার) রংপুর অঞ্চলের হলেও তিনি এ আসনে নবাগত হওয়ায় তার প্রতিও ভোটারদের আগ্রহ ছিল না। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় এবং প্রচার-প্রচারণার যথেষ্ট অভাবের কারণে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ মনে করেন, এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী পাননি। এ ছাড়া ভোট নিয়ে তো একটি বিরূপ ধারণা জনগণের মধ্যে কয়েক বছর থেকে ঠাঁই পেয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ জাপা প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় ভোটাররা ধরেই নিয়েছিলেন লাঙল বিজয়ী হবে। তাই সচেতন ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি।

সর্বশেষ খবর