ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, কর্ণফুলী ভরাট ও দূষণচিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এ নদী থাকবে কিনা সংশয় রয়েছে। তাই এখন থেকে এর ভরাট ও দূষণ ঠেকানো না গেলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গিবাজারে কর্ণফুলী ঘাটে চ্যানেল আইয়ের ২১ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। কর্ণফুলী নদীর বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের মধ্যে একমাত্র গড গিফটেড পোর্ট হলো চট্টগ্রাম বন্দর। ২ হাজার ১০০ বছরের বেশি এ বন্দরের বয়স। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নদীকে ঘিরে সরকারের রয়েছে অনেক পরিকল্পনা। বন্দর চেয়ারম্যানের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নদী রক্ষায় দ্রুত যা যা করার করতে হবে। নদীর নিয়মিত ড্রেজিং অত্যন্ত জরুরি। কাজ করতে হবে যাতে সাসটেইনেবল হয়। দরকার হলে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হবে। বন্দরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কর্ণফুলী আমাদের অস্তিত্ব। একে দখল ও দূষণমুক্ত করতে হবে। কর্ণফুলী নদী কেন, কী কারণে, কীজন্য দূষণ হচ্ছে তা কমবেশি সবাই জানি। সবাই বুঝি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করলে দখল-দূষণ থেকে কর্ণফুলীসহ সব নদী রক্ষা পাবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি এম এ সালাম।