শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
নকশায় বিএসএফের আপত্তি

আখাউড়া স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আপত্তির মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর চেকপোস্ট এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। ভবনের নকশায় বিএসএফ আপত্তি জানিয়েছে। নকশা সংশোধন করে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স বিজনেস সিন্ডিকেট ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সড়কের পাশে ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। ছয় তলা ভিতবিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কিছুদিন পর ২০১৭ সালের ১১ মার্চ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আপত্তির কারণে বিজিবির মাধ্যমে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। প্রায় তিন বছর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার পর পুলিশ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র নিয়ে বিগত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নির্মাণকাজ ফের শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এবার আগের জায়গা থেকে সরে সড়ক থেকে অনেকটা ভিতরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু আবারও বাধার মুখে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিজিবির সিও স্যার ও পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে কাজ বন্ধ রেখেছি। আশা করি আগামী সপ্তায় কাজ শুরু হবে।’ তিনি আরও জানান, বিএসএফ বলেছে ভূমি থেকে ৩৫ ফুট উচ্চতার মধ্যে কাজ করতে হবে। ছয় তলা ভিতের মধ্যে এখন তিন তলা পর্যন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে ভিট ল্যাবেল পর্যন্ত বালু ভরাট করা হয়েছে। ছয় ফিট পর্যন্ত পিলার উঠেছে, নয় ফিট হলেই ছাদ ঢালাই দেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিএসএফ বিজিবিকে জানিয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণে ভূমি থেকে ৩৫ ফিট উঁচু পর্যন্ত করা যাবে। বর্তমানে যে নকশা বা ড্রয়িং ধরে নির্মাণকাজ চলছিল বিএসএফের বাধায় তা বন্ধ রয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

সরাইল বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কবির বলেন, ‘দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নকশায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ করা হবে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়টি জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষ পাঁচ মাস অর্থাৎ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে যান ৭১ হাজার ৬৫৩ জন পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি। আর ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের ৫২ হাজার ১৩৫ জন বাংলাদেশে আগমন করেন। এর মাধ্যমে ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকার আয় করেছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্ট স্থায়ী কাঠামো ও ইমিগ্রেশন সেন্টার নির্মাণ হলে এ পথে দুই দেশের মানুষের যাতায়াত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবদুল হামিদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর