সোমবার, ৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে একক বক্তৃতানুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে একক বক্তৃতানুষ্ঠান

একাত্তরের উত্তাল ৭ মার্চে অগ্নিঝরা ভাষণের মধ্য দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতাকে মুক্তির পথে ধাবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির পথে এগিয়ে যায় বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। গতকাল সকালে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এই একক বক্তৃতানুষ্ঠানে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ : মুক্তির আহ্বান’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বলতে কেবল সশস্ত্র সংগ্রামই বোঝায় না, মুক্তিযুদ্ধ মূলত জনগণের যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের বাঙালির মুক্তিযুদ্ধও বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এর পটভূমি তৈরি হয়েছিল দীর্ঘসময় ধরে বাংলার অতিসাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে  স্বাধিকার আন্দোলনের যে বীজ গ্রথিত হয়েছিল তার পথ ধরে পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচার, অবিচারে নিষ্পেষিত বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের অপেক্ষাতেই ছিল। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিকামী বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথনির্দেশনা দেন। তার ভাষণে জাতির চিন্তা, চেতনা ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন প্রতিফলিত হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ভাষণ না হলে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হতো না। বঙ্গবন্ধুর এই মহান ভাষণ স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেরণা হয়েছিল এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটা দেশ গড়ার প্রেরণা হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর