মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিএনপির মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ক্রমাগত জঘন্য মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, করোনা দুর্যোগে মানুষের জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনার মধ্যে একজন মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি। ৬ কোটির বেশি মানুষ আজ সরকারের ত্রাণ ও সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায়। পাশাপাশি আরও ১ কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ত্রাণ কার্যক্রমে মানুষ খুশি। আর বিএনপি মাঝেমধ্যে ঢাকা, কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে ফটোসেশন করে দু-তিন শ মানুষেকে ত্রাণ দিতে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।

যারা জেগেও ঘুমায়, তাদের ঘুম ভাঙানো যায় না। প্রকৃতপক্ষে সরকার যেভাবে এ পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে এতে বিএনপি প্রচ- হতাশ এবং সে হতাশা থেকেই তারা এ বক্তব্যগুলো রাখছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিশেষ করে তাদের যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যেভাবে মিথ্যাচার করছেন, তার এ মিথ্যাচার ফৌজদারি অপরাধের শামিল। নেশা না করেও নেশাগ্রস্ত মানুষ যেভাবে নেশায় বুঁদ হয়ে বকবক করে তার এ বক্তব্যগুলো ঠিক সে রকম। আমি আশা করব, ক্রমাগতভাবে এ মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসবেন এবং এ রমজান মাসে দয়া করে এ মিথ্যাচারটা পরিহার করবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, করোনাভাইরাসের এ প্রাদুর্ভাব যখন শুরু হয়, ইউরোপ-আমেরিকার সুপার মার্কেটগুলোয় তখন পণ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সুপার মার্কেটের সামনে পণ্য কেনার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। বহু সুপার মার্কেটে গিয়েও কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় শুরুতে মাস্কের সংকট ছিল, হোয়াইট হাউসের সামনে পিপিইর জন্য বিক্ষোভ হয়েছে, আমেরিকার অন্যান্য জায়গাও পিপিইর জন্য বিক্ষোভ হয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে সে পরিস্থিতি হয়নি। নিত্যপণ্য ও মাস্কের কোনো ঘাটতি আমাদের দেশে হয়নি, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে লাখ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে এবং কয়েক লাখ পিপিই মজুদ আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৬৪ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির মধ্যে দুর্নীতিতে ৫৫ জন অভিযুক্ত যা ০.০৮ শতাংশ। অর্থাৎ ১ হাজারে একজনও নয়। ত্রাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির ফলেই এরা শনাক্ত হয়েছে। অন্য কেউ নয়, সরকারি প্রশাসনই তাদের শনাক্ত করেছে, সরকারের পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ৫০ লাখ পরিবারকে এককালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা নগদ পৌঁছার কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরির কোনো অবকাশ নেই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তিন স্তরের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে এটি সরাসরি গ্রহীতার কাছে যাচ্ছে, কোনো মাধ্যমে নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার আইডি নম্বর, নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও মোবাইল নম্বর না মিললে যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর