আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চলমান ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি জনপদ আজ আলোয় ঝলমল করছে। গতকাল সকালে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ এদেশের উন্নয়ন এবং ইমেজকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা ‘সিআরআই’-এর সদস্যরা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতি আজ লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে সেবা খাত। বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ-সুবিধা এখন বিশ্বমানের। তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রযুক্তি যেমনি বদলে দিয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। একদিকে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে, অপরদিকে এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব বাস্তবতায় শেখ হাসিনা সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেধাবীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। চরিত্রবানরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাতে চলে যাবে।