সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও দরপতনে শেষ হয়েছে দেশের দুই শেয়ারবাজারের লেনদেন। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। আগেরদিনও বড় দরপতন হয় শেয়ারবাজারে। লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৯৯ পয়েন্টে নেমেছে। মূল্য সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৭১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ৮২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক দেখা গেছে, লেনদেন শেষে ১৪টির দর বেড়েছে। দাম বেড়েছে ৫টির। আর আর্থিক খাতের একটি প্রতিষ্ঠানও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পারেনি। এ খাতের ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৯টি বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৩টিরই শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে তিনটির।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১০টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৮টির। আর ১০৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪ টাকা কমে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর হয়েছে ৮৩ টাকা ২০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকোর ৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে থাকে লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স। এ ছাড়া ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ও এসএস স্টিল। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭৮ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির এবং ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।