মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিকের ১৫ খাল পরিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরে ছোট-বড় ৩৬টি খাল আছে। এসব খাল দিয়েই নগরের পানি প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু খালগুলোর অধিকাংশই এখন বেহাল। দখল-দূষণ ও ভরাটে পানি প্রবাহিত হওয়ার কোনো পথ অবশিষ্ট নেই। তাই নগরের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে।

তবে এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরের খালগুলো পরিষ্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরই মধ্যে চসিক নগরের গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি খাল পরিষ্কার করে।

একই সঙ্গে নগরের ছোট-বড় নালা-নর্দমা ও ড্রেনগুলোও পরিষ্কার করা হয়েছে।

জানা যায়, নগরের অধিকাংশ খালই পরিণত হয়েছে পলিথিন, প্লাস্টিকসহ নানা বর্জ্যরে ভাগাড়ে। তাছাড়া অনেক খাল হয়ে গেছে ভরাট, অনেক খালের মাঝখানে গড়ে উঠেছে গাছ-গাছালি, সঙ্গে আছে বেদখল। ফলে রুদ্ধ হয়ে গেছে পানি চলাচলের পথ।

বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, চরম পর্যায়ে পৌঁছে জনদুর্ভোগ। অন্যদিকে, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খালগুলো পরিষ্কারে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু গত দুই বছর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এ কর্মসূচি বন্ধ রাখে। ফলে গত বছর নগরে অল্পবৃষ্টিতেই নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। তাই এ বছর চসিক নগরের খাল থেকে আবর্জনা পরিষ্কার কর্মসূচি শুরু করে।

চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, গত এক মাসে ১৫টি খাল পরিষ্কার করা হয়। প্রতিটি খাল থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টন পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ করা হয়। অতীতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, এমন খালও পরিষ্কার করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।’

তিনি বলেন, নানা ধরনের বর্জ্যরে কারণে খালে মশার বংশবিস্তার হয়। সঙ্গে পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু বর্জ্যগুলো যদি যথানিয়মে ডাস্টবিনে ফেলা হয়, তাহলে মশার উৎপাদন কম হতো। পানিও প্রবাহিত হতো।’   

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর