রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
মুন্সীগঞ্জে রাতভর তান্ডব

বাড়িঘর ভাঙচুর, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

গত এক বছরে আটবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুটি গ্রুপ। হয়েছে একাধিক মামলা, দেনদরবার। তবুও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। আধিপত্য ধরে রাখতে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপের লোকজন। চলে ভাঙচুর লুটপাট। সর্বশেষ গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। রাতভর চলে তা-ব। এ সময় ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। 

উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামে থেমে থেমে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক বছর ধরে সামসুদ্দিন হাওলাদার ও নজির হাওলাদার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এক বছরে দুই গ্রুপের মধ্যে এ পর্যন্ত আটবার সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে অনেক নিরীহ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ড্রেজার মেশিন। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এক পক্ষের ক্ষতিগ্রস্ত আহম্মদ হাওলাদার বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। মারামারির সঙ্গেও জড়িত নয়। তারপরও প্রতিপক্ষের লোকজন আমার একটি ড্রেজার ভেঙে মেশিন ও পাইপ নিয়ে গেছে। অপর ভুক্তভোগী শাহিদা বেগম বলেন, আমার ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী। দেশে থাকে না, কোনো দলবলেও নেই। অথচ সন্ত্রাসীরা গ্রামে হামলা চালিয়ে ভাইয়ের বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছে।

বাকপ্রতিবন্ধী আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী তারা বানু বলেন, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। কোনো দলবলে নেই। দিনমজুরের কাজ করে খাই। শুক্রবার রাতে আমাদের ঘরের দরজা বেড়াসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে হামলাকারীরা। আমার স্বামী তাদের পায়ে পর্যন্ত ধরেছে তারপরও ভাঙচুর থামেনি। সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। তারপরও এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর