রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক শেষ হয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে। গোয়ালন্দ পৌরসভা শেষ হয়ে দৌলতদিয়া শুরু। সেখান থেকেই রাস্তার দুই পাশে কৃষ্ণচূড়ার লালে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি। চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে ফুলে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি। মহাসড়ক থেকে যতদূর চোখ যায় মন হয় লাল-সবুজের সমারোহ। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে এসব গাছের ছায়া যেন এনে দেয় চরম প্রশান্তি। পথচারিরা অবাক বিষ্ময়ে উপভোগ করে মনোমুগ্ধকর এসব দৃশ্য। মুঠোফোনে বন্দী করে কৃষ্ণচূড়া ফুলের ছবি। সরেজমিনে দৌলতদিয়া পুলিশ বক্স থেকে সামনে আগালেই চোখে পড়বে কৃষ্ণচূড়া গাছ। সেখান  রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ফেরিঘাট পর্যন্ত কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। কৃষ্ণচূড়া ফুলের মাঝখান থেকে ভেসে আসে কোকিলের সুমধুর কণ্ঠ। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার জন্ম আফ্রিকায়। এই বৃক্ষ গ্রীষ্ম ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। আফ্রিকা, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে কৃষ্ণচূড়া জন্মে থাকে। দৌলতদিয়ার বাসিন্দা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাওয়ার বিকল্প এই সড়কটি কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে যায়। এ বছর গাছে গাছে অনেক ফুল ফুটেছে।

 তবে এ বছর লকডাউন থাকার কারণে রাস্তায় সেরকম ধুলাবালি নেই। যে কারণে ফুলগুলো আপন রঙে প্রকৃতি রাঙিয়েছে।

ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মো. তাজ বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রতি বছর কৃষ্ণচূড়া আপন রূপে প্রকৃতি সাজায়। এ বছরও কৃষ্ণচূড়া আপন রূপে প্রকৃতিকে সাজিয়েছে। আমরা সময় পেলে ফুলগুলো মুঠোফোনে বন্দী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর