শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বর্ষায় নৌকা তৈরির হিড়িক

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

বর্ষায় নৌকা তৈরির হিড়িক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা তৈরির হিড়িক পড়েছে। উপজেলা সদরের সাড়ে সাতরশি বাজার, সদরপুর বাজার, পিঁয়াজখালী বাজার ও আকটেরচর বাজারে নৌকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ নৌকা মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ফরিদপুরের চরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র বাহন হচ্ছে নৌকা। বর্ষার সময় বাড়ি থেকে বের হতে হলে নৌকার বিকল্প নেই চরের মানুষের। চলাচল ছাড়াও নৌকা দিয়ে চরের মানুষ মৌসুমে মাছ শিকার ও গরু-ছাগলের ঘাস কাটার কাজে ব্যবহার করেন। চরাঞ্চলের মানুষ এক বছর ব্যবহার করে পরের বছর আবার নতুন নৌকা কিনে থাকেন। তাই প্রতি বছর বর্ষা এলে এখানে নৌকা তৈরির হিড়িক পড়ে। সম্প্রতি সদরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারিগররা নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরনো নৌকা মেরামতে ব্যস্ত। উপজেলার চরমানাইড় এলাকার সফিকুল ইসলাম, মনির মাতুব্বর জানান, গ্রামাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলাচলের গতি নেই। ফলে প্রতি বছরই তারা নৌকা কিনে থাকেন। এ বছর নৌকার দাম বেশি বলেও জানান তারা। স্থানীয়রা বলেন, সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া, চরমানাইড়, চরনাসিরপুর, আকোটেরচর বর্ষায় ৪-৫ মাস বা তার চেয়েও বেশি সময় পানিবন্দী থাকে। এ সব পানিবন্দী মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। তাই বর্ষা এলেই নৌকার কদর বেড়ে যায়। সঙ্গে কদর বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরনো নৌকা মেরামতের কাজ। চৌধুরীর হাট এলাকার লুৎফর, জামাল শিকদার কান্দি গ্রামের আকাব্বর, চন্দ্র পাড়ার লতিফ ও মোসলেম বলেন, বর্ষা মৌসুমে নৌকাই তাদের বাঁচার সম্বল। নৌকা বিক্রির সঙ্গে জড়িত সাড়ে সাতরশি বাজারের শুশান্ত, পিয়াজখালী হাটের মোহন ও আকটেরচর বাজারের দীনেশ বলেন, অতীতে তারা সারা বছর নৌকা বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে শুধু নৌকা তৈরি করেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর