ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত দেশের শহরগুলোর মতো ঢাকায় কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য বাস্তবসম্মত গবেষণার এখনই সময়। শহরের কোন রাস্তা একমুখী হবে আর কোন রাস্তা দ্বিমুখী সেটি গবেষণা করে নির্ধারণ করতে হবে। গবেষণা করে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল দুপুরে বুয়েট নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ‘নগরে নিম্নবিত্তের আবাসন-বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রাসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জাব্বার খান, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সচিব মামুন আল রশীদ, রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ও ইউডিডির মহাপরিচালক ড. খুরশিদ জাবিন হোসাইন তৌফিক বক্তব্য দেন।
এর আগে বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিম্নআয়ের মানুষের আবাসন বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন। প্রতিবেদনটি তিনটি ধাপে করা হয়। ঢাকাতে বস্তি : স্থান, এলাকা এবং জনসংখ্যার পরিমাণ চিত্র তুলে ধরেন ফাইরুজ নওশিন ও সায়েদা লাইজু আক্তার। নিম্নআয়ের মানুষের আবাসন : নীতিমালা ও বিদ্যমান দৃশ্য’ প্রতিবেদন তুলে ধরেন নাজিফা আঞ্জুম। ‘অন সাইট স্লাম আপগ্রেডেশন অব ঢাকা ম্যাচ কলোনি, শ্যামপুর’ প্রতিবেদন তুলে ধরেন মুন ইসলাম, সাব্বির হোসাইন মনি ও মশিউর রহমান খান।
সিটি মেয়র বলেন, শিক্ষার্থীরা নগরে নিম্নবিত্তের আবাসন-বাস্তবতা ও করণীয় বিষয়ে যে ৩টি গবেষণা করেছে এগুলো আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করব। প্রথমে আমরা বিহারি পল্লীতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটা বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে এই ঢাকা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী হাউজিং সোসাইটিগুলো তাদের আবাসন প্রকল্প করছে না। অপরিকল্পিতভাবে যেন আর আবাসন প্রকল্প গড়ে না উঠে সেটি তদারকি বাড়াতে হবে।
