বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে এক মাসে ৫৬ দুর্ঘটনায় নিহত ৬৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিভাগে গত জুনে ৫৬টি দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে রাজশাহী জেলায় দুর্ঘটনার হার কম। তবু জেলায় পাঁচটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জুনের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা ইত্যাদি। ৩০ জুন গোদাগাড়ীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ট্রাকচাপায় আবদুল মান্নান (৩৫) নিহত হন। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার শিববাটি গ্রামের মৃত জাহেদ হোসেনের ছেলে। এর পাঁচ দিন আগে ২৫ জুন পুঠিয়ায় ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক সমশের আলী (৪৫) নিহত হন।

 তিনি পবা উপজেলার পারিলা এলাকার মৃত হানিফ আলীর ছেলে।

এর আগের দিন নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজন নিহত হন। তাঁরা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলার পানিহারা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলার বাদ নেহেন্দা গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন (৪৭), বেলকাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিয়ামতপুরের বিজলী গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৮), উপজেলার গুজিশহর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভাদর- গ্রামের বাসিন্দা জান্নাতুন (৩৫) এবং উপজেলার রামকুড়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. লেলিন (২৬)। নিহত আরেকজন নিয়ামতপুরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক সেলিম (৪৫)।

২১ জুন পুঠিয়ায় ট্রাক-লেগুনা সংঘর্ষে বানেশ্বর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সুমনুজ্জামান (৩৮) ও চারঘাট উপজেলার রাসেদুল ইসলাম (৩০) নিহত হন। এ ছাড়া লেগুনার যাত্রী ভোদর মিয়া (৫৫), রাসেল (২১), জিল্লুর রহমান (২২), সাগর আলী (২২), রনি (২৭), মঞ্জুরা বেগম (৬৫), পিঞ্জিরা (৩০), তুফান (৮), ফেরদৌসী (৪৫) ও আবদুল্লাহ (১৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।

১৯ জুন গোমস্তাপুরে ট্রাক্টরচাপায় ১২ বছর বয়সী আজিজ নিহত হয়। একই দিন লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ইকবাল (২২) ও সবুজ (২০) নিহত হন। ৭ জুন লালপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে টাঙ্গাইল সদরের বিল গারিন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আপন মিয়া (২০) ও হেলপার বাশাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাজি মঞ্জুর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০) নিহত হন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘রাজশাহী জেলার মধ্যে মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে। কারণ শহরের রাস্তাঘাট অনেক ভালো। তাই দুর্ঘটনা কম। গত জুনে রাজশাহী বিভাগের পাবনা, বগুড়া, নওগাঁয় বড় ধনের বেশি কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একেকটি দুর্ঘটনায় দুই থেকে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নওগাঁয় ২৪ জুন সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজন নিহত হন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর