বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাবি ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রজিত দাস নামে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে মারধর করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রজিত দাস শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানায় বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুষার হোসেন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মো. শামীমুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা দুজনই সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগত্রে বলা হয়, ‘আমি মোটরসাইকেলযোগে পলাশী হতে টিএসসির উদ্দেশে রওনা দিই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে সূর্যসেন হলের মো. তুষার হোসেন ও মো. শামীমুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় জন আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চাইলে আমি প্রতিবাদ করি। পরে তারা আমাকে লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। থাপ্পড়ে আমার কানের পর্দা ফেটে যায়।’

অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘পরে তারা আমাকে সূর্যসেন হলের গেস্টরুমে নিয়ে ফের মারধর করে। তারা আমার পালসার মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল-৫১-১২৭৫), আইফোন ও নগদ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারপর ধাক্কা মেরে বের করে দিয়ে বলে, “তুই সোজা চলে যাবি। ডানে বামে কোথাও তাকাবি না।” এ সময় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

জানা যায়, প্রজিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ছিল এস এম হলের ছাত্রলীগ নেতা মিলন খানের। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে প্রজিতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি। এ সময় মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করেন মিলন খান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী তুষার হোসেন বলেন, ‘প্রজিতকে আমার একজন বড় ভাই পাঠিয়েছিল আমাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তিনি হলে এসে “আমাকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছেন” বলে জানান। আমার জুনিয়ররা তখন বিষয়টি ভুল বুঝলে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গেস্টরুমে বসানো হয়। এটি একটি ভুল বোঝাবুঝি, আমি এটি নিয়ে পরে ক্ষমাও চেয়েছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও সব আছে।’ অন্য অভিযুক্ত শামীমুল ইসলামও একই কথা বলেন।

ছাত্রলীগ নেতা মিলন খান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছি। কিন্তু ওরা তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল বা টাকাপয়সা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।’

তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘মারধরের একটি অভিযোগ গতকাল রাত ৩টার দিকে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে অভিযোগকারীর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর