দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গতকাল আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আরপিওর প্রস্তাবিত খসড়ার বিষয়ে রবিবার তিনি জানান, নির্বাচন নিয়ে যে কোনো পর্যায়ে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে ভোট বাতিল, নির্বাচনী কাজে অবৈধভাবে বাধা ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার যোগসাজশ এবং পোলিং এজেন্টদের ভীতি প্রদর্শন বা বাধার ঘটনা দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা, দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়াসহ প্রায় এক ডজন ছোটখাটো সংস্কারের সুপারিশ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আরপিও সংশোধনের এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবনা রবিবার কমিশন সভায় অনুমোদন হয়েছে, গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এরপরও দরকার পড়লে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ভেটিং শেষে মন্ত্রিসভায় বৈঠকে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে তা সংসদে সংশোধন বিল আকারে উপস্থাপন হবে। এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে সংসদে বিল আকারে পাস হলেই সংশোধনীটি আরপিও তে যুক্ত হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। ধারাবাহিকভাবে কমিশনে প্রাপ্ত কিছু সুপারিশের পাশাপাশি সংলাপ থেকে প্রাপ্ত কিছু প্রস্তাবনাও এবারের আরপিও সংশোধনের খসড়ায় রয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্বাচনে অনিয়ম হলে প্রিজাইডিং অফিসাররা যাতে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করতে পারেন, সে বিষয়ে তাদের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া ভোটের দিন থেকে ফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত যে কোনো মুহূর্তে ভোট বাতিল, পোলিং এজেন্টদের সুরক্ষা, অনিয়মে জড়িত নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা, নারী প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ২০৩০ সাল সময়, গঠনতন্ত্র সংশোধনের সময় কমিয়ে এক মাস করাসহ এক গুচ্ছ প্রস্তাবনা রয়েছে প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনীতে।