রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভৈরব সেতু নির্মাণে জটিলতা কাটল

নির্মাণকাজ শুরুর ১৫ মাস পর ভূমি অধিগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

২০২১ সালের ২৪ মে খুলনার দৌলতপুরে মহসিন মোড়ে ভৈরব সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতায় ১৫ মাসে নির্মাণকাজ মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে দীর্ঘ অচলাবস্থার পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেতুর দুই প্রান্তে ভূমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সেতু নির্মাণের জটিলতা কেটেছে।

জানা যায়, এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণের হুকুম দখলে দিঘলিয়া প্রান্তে চার শতাধিক ভূমির মালিককে ক্ষতিপূরণের নোটিস প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেতুর শহরাংশেও ভূমির হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) শাহনাজ পারভীন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোতালেব হোসেন মহসিন মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত রেলওয়ের জমি পরিদর্শন করেন। সেতু নির্মাণে এ অংশের ৭ দশমিক ১১৩৬ একর জমি হস্তান্তরের জন্য রেলওয়ে সচিবকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সেতু নির্মিত হলে দিঘলিয়া উপজেলার সঙ্গে খুলনা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সেই সঙ্গে নদী পারাপারে দুর্ভোগও কমবে। সরেজমিন দেখা যায়, বর্তমানে সেতুর পূর্ব প্রান্তে দিঘলিয়ার দেয়াড়ায় ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলার এবং পশ্চিম প্রান্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের কাজ চলমান রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, অধিগ্রহণের কাজ শেষ হওয়ায় অবশেষে সেতু নির্মাণকাজে জটিলতা দূর হয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিগ্রহণ কাজে বিলম্বে সেতুর নির্মাণকাজ পিছিয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন ১৩ নম্বর দেবনগর মৌজার ৯ দশমিক ২৮৯২ একর জমি এবং ১৪ নম্বর দিঘলিয়া মৌজার ১ দশমিক ০৮৬৮ একর জমির কাগজপত্র সওজকে হস্তান্তর করেন।

জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে টেলিফোনে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

কর্মকর্তারা জানান, ভৈরব সেতুতে শহরাংশে মহসিন মোড় থেকে রেলগেট ফেরিঘাট পর্যন্ত ১ থেকে ১৪ নম্বর পিলার বসবে। পশ্চিম পাশে ভৈরব নদের পাড় থেকে ৪২ মিটার ভিতরে ১৫ নম্বর পিলার এবং পূর্ব পাশে নদের পাড় থেকে ১৮ মিটার ভিতরে ১৬ নম্বর পিলার বসবে। ১৭ থেকে ৩০ নম্বর পিলার বসবে সেতুর দিঘলিয়া প্রান্তে। নদের মধ্যে কোনো পিলার থাকবে না। সেতুর নিচ দিয়ে কার্গো ও জাহাজ চলাচলে মূল ব্রিজের কাঠামো জোয়ারের পানি থেকে ৬০ ফুট উঁচু থাকবে।

সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৩১৬ কিলোমিটার। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর