সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহী বিভাগে শতাধিক মামলা ঘরছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রিয়াল। বাঘা থানায় ককটেল বিস্ফোরণ ও লাঠি উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ মামলা করে। তাতে নাম আছে তার। কিন্তু ঘটনার সময় তিনি এলাকায়ও ছিলেন না। শুধু রিয়াল নন, শতাধিক মামলায় এমন ১০ হাজারের বেশি আসামি এখন বিএনপির নেতা-কর্মী। গত সাত দিনে বিভাগের আট জেলায় বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো হয়েছে। গত ২১ নভেম্বর রাতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা সদরে চারটি ককটেল ও কয়েকটি লাঠিসোঁটা উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের ১৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০-১৬০ জনের নামে মামলা করে পুলিশ। এ মামলা দায়েরের পর থেকে উপজেলাজুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাতে শুরু করে পুলিশ। ওই মামলার আসামিরা গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন। তবে অজ্ঞাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের তথ্যানুযায়ী, শুধু রাজশাহীতেই বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ককটেল উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে ১৩টি মামলা। এর বাইরে নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ বিভাগের আট জেলাতে আরও মামলা হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে। এসব মামলায় অন্তত ১ হাজার ৫০০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে। মামলায় গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দিন যত এগিয়ে আসছে, পুলিশ ততই আগ্রাসী হয়ে উঠছে।

বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ ককটেল ‘নাটক’ সাজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছে। বিএনপির বহু নেতার নামে মামলা দিয়েছে। গোপনে পুলিশ থানাগুলোতে মামলা করে রাখছে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করতে।   

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীসহ সাংগঠনিক নয় জেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতারসহ হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের বহু নেতা-কর্মী ঘর ছাড়া। তবে রাজশাহীর সমাবেশ হবে স্মরণকালের সর্বোচ্চ বড় সমাবেশ। সে লক্ষ্যে আমরা নানা প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গণসমাবেশের তিন দিন আগেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা খাবার ও বিছানাপত্র নিয়ে পদ্মা পারের মাদরাসা মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করবেন। অনেকেই অবস্থান নেবেন পদ্মার ওপারে চরের বাড়িগুলোতে। তারা সমাবেশের দিন সকালে বা আগের দিন রাতে নৌকায় নদী পার হয়ে মাদরাসা মাঠে এসে জড়ো হবেন। বাস ধর্মঘট যাতে সমাবেশে কোনো প্রভাব না ফেলে, সেজন্য তারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর