শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

হিলিতে মাল্টার আবাদ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

হিলিতে মাল্টার আবাদ

দিনাজপুরের হিলিতে ফলন ভালো হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ায় মাল্টা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। এদিকে ফলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মাল্টা চাষাবাদে কৃষকদের সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

হিলির খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের খট্টা গ্রামের কৃষক এ এন এম জাকারিয়া তার বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে ৬০টি মাল্টা গাছ দিয়ে গড়ে তোলেন মাল্টার বাগান। সেই মাল্টা বাগান লাভজনক হওয়ায় এবার পরিসর বাড়িয়ে আরও বৃহৎ আকারে পার্শ্ববর্তী দুই বিঘা জমিতে মাল্টাসহ কমলার বাগান গড়ে তুলেছেন।

বাগান দেখতে আসা কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, জায়গাটি পড়েই ছিল, কোনো ফসল আবাদ হচ্ছিল না। কৃষি অফিস থেকে গাছ নিয়ে এখানে মাল্টার বাগান করেছেন জাকারিয়া। তাতে ভালোই ফল দেখতে পাচ্ছি। আগে তার যে অবস্থা ছিল মাল্টার বাগান করার ফলে তার এখন অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ উন্নত হয়েছে। তাই আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার মতো মাল্টা বাগান করব। কৃষক এ এন এম জাকারিয়া বলেন, ২০১৬ সালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বারি-১ জাতের ৬০টি মাল্টা গাছের চারা পাই। আমার বাড়ির পাশে পতিত ২০ শতক জমিতে সেই চারাগুলো লাগাই। ৬০টি গাছের মধ্যে ম্যাচিউট গাছ হয় ৩৬টি, গাছ লাগানোর দুই বছরের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। এ সময় সেই ফলগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে বিলিয়ে দিই।

২০১৯ সালে ৩০ হাজার টাকার উপরে মাল্টা বিক্রি করি। পরের বছর  ৫৪ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি করি। এখন আমার বাগানে ৪৮৫টি গাছ রয়েছে, এর মধ্যে দার্জিলিং কমলার গাছ ১৫০টি, ৬০টি গাছ রয়েছে ভিয়েতনামের বারোমাসি মাল্টা গাছ, বাকিটা বারি-১ জাতের মাল্টা গাছ রয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, আমাদের এ উপজেলায় মাল্টা একটি সম্ভাবনাময় ফসল। প্রথমে প্রকল্পের আওতায় জাকারিয়াকে ৬০টি মাল্টা গাছ দিয়েছিলাম। সেই বাগানে কয়েক বছর ধরে ফল ধরতে শুরু করেছে। মাল্টার আকার বেশ বড়, সুস্বাদু ও ফলন ভালো হওয়ায় উনি মাল্টা চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তার দেখাদেখি আরও তিনটি বাগান করেছেন এলাকার কৃষক। মাল্টা চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই, আমাদের নিকট পরামর্শ নিতে আসছেন। আমরা চাচ্ছি এ ফলটা উপজেলায় সম্প্রসারিত হোক।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর