শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ কমাতে সুশাসন ও নজরদারি চায় ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে কঠোর নজরদারির কোনো বিকল্প নেই। গতকাল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডার সচিব মোহসিনা ইয়াসমিন। আলোচনায় অংশ নেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। ডিসিসিআই সভাপতি বৈদেশিক বিনিয়োগে বহুমুখীকরণ, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের ভ্যালু অ্যাডিশন ৯০ শতাংশে উন্নীতকরণ, ওষুধ শিল্পের জন্য এপিআই শিল্পপার্কের দ্রুত বাস্তবায়ন, হালকা প্রকৌশল শিল্পের জন্য পৃথক শিল্পাঞ্চল এবং পাটপণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য নগদ সহায়তার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিনিয়োগ ও রপ্তানি বৃদ্ধিকল্পে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার সাত্তার।

 চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্স অনুসরণ, হালকা প্রকৌশল খাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়নের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি হারে জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। সিএমএসএমই হতে ‘মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ’-কে পৃথকীকরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তারা আরও সহজে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তিতে সক্ষম হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এলডিসি উত্তরণ নিয়ে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তবে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে, বিশেষ করে এলডিসি পরবর্তী সময়ে রপ্তানি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে হলে ভ্যালু অ্যাডিশনের ওপর আরও বেশি হারে জোর দিতে হবে, এ লক্ষ্যে বিশেষ করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি হারে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। বিডার সচিব মোহসিনা ইয়াসমিন বলেন, উদ্যোক্তাদের এ ধরনের সেবা গ্রহণের হার খুবই কম, ফলে সেবা প্রাপ্তিতে কোনো ধরনের সমস্যা থাকলে তা নিরসনে বিডা কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না। বিডা পোর্টাল ব্যবহার করে অনলাইন ভিত্তিক সেবা বাড়ানোর জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর