শিরোনাম
শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

অল্প বৃষ্টিতে বড় ভোগান্তি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

অল্প বৃষ্টিতে বড় ভোগান্তি

চট্টগ্রামে বুধবার দুপুরে মাত্র ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয়। এই অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় নগরের অনেক নিম্নাঞ্চল। ফলে মানুষকে বড় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কাদামাটি ও পানি মাড়িয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালা-ড্রেন পরিষ্কার করে থাকে। অভিযোগ আছে, তিন দশক ধরে নগরবাসীকে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও তার আশানুরূপ সুফল পাওয়া যায় না।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে টানা ১৫ মিনিট মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতেই নগরের পূর্ব ষোলোশহর ওমর আলী মাতব্বর লেন, চকবাজার কাপাসগোলা সড়ক, শুল্কবহর, দক্ষিণ বাকলিয়া ইছাহাকের পুল সংলগ্ন রাস্তা, কাতালগঞ্জ, প্রবর্তকসহ শহরের অনেক নিচু এলাকায় পানি জমে যায়।

শুল্কবহর এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বর্ষায় আমাদের কী অবস্থা হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এখন থেকেই শঙ্কায় আছি।  

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দুই মাস ধরে আমরা সিডিএকে বারবার বলে আসছি, খালের পলিমাটি অপসারণ করতে। কিন্তু তারা তা করেনি। এ কারণে পানি দ্রুত নদীতে অপসারণ হতে পারছে না। বর্ষার আগেই এসব যেন অপসারণ করা হয়। অন্যথায় আগামী বর্ষায়ও আমাদের জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে।

জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর অধীনে নগরের ৩৬টি খালের উন্নয়ন, খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারকালে খনন করা মাটি খালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। ফলে নগরের পানি দ্রুত কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়তে পারে না। বাঁধে পানি আটকে যায়। এ ছাড়া, মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা আরও ২১টি খাল চসিক নিয়মিত সংস্কার ও পরিষ্কার করার কথা। কিন্তু তারা তা নিয়মিত করে না বলে অভিযোগ আছে। উল্টো চসিক নগরের শীতলঝরনা, বামুনশাহী ও গয়না ছড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খালের ওপর বাঁধ দিয়েছে। কয়েক মাস আগে সংস্কার কাজ শেষ হলেও বাঁধ ও রিটেইনিং ওয়ালের বেইস করার সময় উত্তোলন করা মাটি অপসারণ করেনি চসিক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর