বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইজিপি বলেন, ঈদের ছুটিতে বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট জনসমাগম হয়। তাদের নিরাপত্তার কথাও বিবেচনায় রেখে আমরা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ঈদে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র‌্যাবসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিট একযোগে দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া স্পেশালাইজড ইউনিট, সোয়াট, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিজপোজাল ইউনিট, এটিইউ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। পুলিশপ্রধান বলেন, ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কন্ট্রোল রুম, সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু হয়েছে।  সড়কের অবস্থাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। যাত্রী সাধারণ যাতে দ্রুত সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঈদ জামাতস্থলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, আমরা ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে ঈদ আগের দিন পালন করবে, সেখানেও একই ব্যবস্থা থাকবে। জামাতে সাদা পোশাকে পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট থানা তৎপর থাকবে।

তিনি যাত্রী সাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যাত্রাপথে সহযাত্রীদের দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এতে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই।

আইজিপি বলেন, মহাসড়কে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং জনসাধারণের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এরপর পাশাপাশি জেলা পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্কভাবে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের প্রতি অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল কোর্ট থাকবে। সড়ক ও জনপথের লোকবল এবং ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সবাই মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। আমরা আশা করছি, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দুর্ঘটনা কমবে।

ঈদে ফাঁকা ঢাকায় প্রতিবারই চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। এবার আর সেই সুযোগ নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় তৎপর থাকবে পুলিশ। ফাঁকা বাড়িতে মূল্যবান সম্পদ নিকটাত্মীয় অথবা নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশপ্রধান।

বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকা  সম্পর্কে আইজিপি বলেন, অগ্নিকান্ডের প্রতিটি ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রত্যেকটি ঘটনাই আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইজিপি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। তিনি যাত্রী সাধারণ, লঞ্চ মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. দিদার আহম্মেদ, রেলওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর