বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধ সম্পর্কের দায় থেকে বাঁচতে মিলিকে হত্যা

চার বছর পর সিআইডির অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সরকারি বি এম কলেজের একাউন্টিং বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের ছাত্রী মিলি ইসলাম হত্যার ঘটনার চার বছর পর অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ (সিআইডি)। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে মিলির কথিত প্রেমিক সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের শিক্ষক পুনিল সরকার ও তার সহযোগী পলাশ চৌধুরীকে। ৭ মে মেট্রোপলিটন পুলিশের সিআইডির উপপরিদর্শক রুহুল আমীন মেট্রোপলিটন আদালতে এ অভিযোপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মিলির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের দায় থেকে বাঁচতে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা উল্লেখ রয়েছে। এদিকে মামলার দুই আসামি পুনিল ও পলাশ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দুই বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগপত্রে জানা যায়, বিএম কলেজের মেধাবী ছাত্রী মিলি ইসলামের বোন নুরুন্নেছা নুপুরের মেয়ে শারমিন জান্নাতকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন মডেল স্কুলের শিক্ষক পুনিল সরকার। বাসায় আসা-যাওয়ার সুযোগে মিলির সঙ্গে পুনিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুনিল ধর্মান্তরিত হয়ে মিলিকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে মিলি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে পুনিল টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ২ মে নগরীর কাশীপুর ফিশারি রোডের এক নম্বর গলির ডা. আলী আজিমের বাসার ৪ তলার একটি ফ্লাট ভাড়া নেন পুনিল। ওই রাতে মিলিকে শারীরিক নির্যাতনে হত্যার পর তার লাশ ভাড়া বাসায় নতুন লাগানো ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। মিলির বিয়ের চাপ এবং সামাজিকভাবে সম্মানহানির আশঙ্কায় স্ত্রী ও এক সন্তানের জনক পুনিল তার কথিত প্রেমিককে হত্যা করে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন বলে তদন্তে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক রুহুল আমীন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর