ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দুর্গারামপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৬৬তম সুদ ও সার্ভিসচার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। ৪৭০ জন উপকারভোগীর মাঝে গতকাল ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৭২ জনের প্রত্যেকে ১৫ হাজার করে ১০ লাখ ৮০ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে ৩৯৮ জনের প্রত্যেকে ১৫ হাজার করে ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ঋণ শুধু মহিলাদের মাঝে বিতরণ করা হয়; যা দিয়ে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, শাকসবজি চাষসহ ৩২ প্রকার কাজে তারা এ ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করে খুবই উপকার পাচ্ছেন। ২০০৫ সাল থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিয়মিত এ ঋণ বিতরণ চলছে। এ ঋণের পরিধি প্রথম দিকে শুধু বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে পাশের উপজেলা হোমনা ও নবীনগরে বিস্তার লাভ করেছে। বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মো. মাইমুন কবিরের সভাপতিত্বে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক মো. জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার মো. আমির হোসেন আনোয়ার, অফিসার মো. শাহজাহান, আলমগীর হোসেন, মুজিবুর রহমান, মো. অলি উল্লাহ, মো. কবির হোসেন ও মো. বাছির মিয়া। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের লক্ষ্যই হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলদের ঋণ দিয়ে সচ্ছল করে তোলা। সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। উলুকান্দি গ্রামের নুরুন নাহার বেগম (৩৫) বলেন, ‘বসুন্ধরার হগল মালিকগণের লাইগা দোয়া করি আল্লায় যেন ভালো রাহে।’ মায়ারামপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৪০) বলেন, ‘এই টেহা দিয়া গরুর বাছুর কিন্না পালমু। অনেক লাভ আইব।’ উজানচর গ্রামের সেলিনা বেগম (৪৫) বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আমি হাঁস ও মুরগি কিনমু। পরিবারের খাওনের চাহিদা মিডাইয়া বাজারে বিক্রি কইরা ও কয়ডা টেহা আয় করমু।’ আইয়ূবপুরের পারভীন বেগম (৩৫) বলেন, ‘এই টাকা দিয়া আমার জামাই বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করব। পেট ভইরা তিন বেলা খাইতে পারমু।’