বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান বিচার ব্যবস্থা ‘পুরোপুরিভাবে সরকারের মূল নিয়ন্ত্রণে’ চলে গেছে। বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন না করে, শুধু নামটা পরিবর্তন করে বুধবার তারা সংসদে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিলটি পাস করেছে। যেটা এর আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে ছিল। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এসব অভিযোগ করেন তিনি। ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কনভেনর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার কায়সার কামালের পরিচালনায় সেমিনারে হাই কোর্ট ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী উচ্চ আদালতের বর্তমান অবস্থায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নিজেদের মনঃকষ্টের কথাও বলেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বর্তমানে একদলীয় শাসন চলছে। কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে যখন পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেন, যখন জজ সাহেবরা শপথবদ্ধ রাজনীতির কথা বলেন, যখন বিচার ব্যবস্থা যদি পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ হয়ে যায়, তখন মানুষ কোথায় যাবে?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনজীবীদের কাছে অনুরোধ থাকবে- আপনাদের জোটবদ্ধ উদ্যোগকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে সমস্ত আইনজীবীদের নিয়ে এসে এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের অনেক ক্ষতি করেছো। ইটস এনাফ, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট ক্ষতি করেছো। এখন তোমরা দয়া করে পত্রপাঠ বিদায় হও, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের একটা পার্লামেন্ট ও জনগণের একটা সরকার তৈরি করো।
সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মনিরুল হক চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইসমাইল জবিউল্লাহ, এস এ কে কামরুজ্জামান, জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, আবদুর রশিদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বদরুজ্জামান বাদল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মীর হেলাল উদ্দিন, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
