ঈদুল আজহার টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল প্রথম কর্মদিবসেই দুই বছর আগের ৯টা-৫টা অফিস সূচিতে ফিরেছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিন যথারীতি অফিস কার্যক্রম শুরু হলেও ঈদের আমেজ কাটেনি ব্যাংকপাড়ায়। প্রথম দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। একই সঙ্গে ছুটি শেষে পুঁজিবাজারেও লেনদেন শুরু হয়েছে গতকাল।
সরেজমিনে মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায় ঘুরে দেখা গেছে, কাজে ফেরা ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা প্রথম দিন সহকর্মী ও পরিচিত গ্রাহকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে সময় কাটিয়েছেন। গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় ব্যাংক পাড়ায় ছিল ঈদের আমেজ। অনেক কর্মকর্তা সরকারি ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন। তবে কর্মচারীদের একটি অংশ ছুটিতে থাকলেও ব্যাংকিং সেবায় ‘কোনো সমস্যা হচ্ছে না’ বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। তারা বলেন, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে গেলেও ৭০ শতাংশের বেশি কর্মচারীই অফিস করছেন। কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কর্পোরেট শাখা খোলার এক ঘণ্টা পর একজন গ্রাহক এসেছেন টাকা জমা দিতে। এই ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের সবগুলো কাউন্টারই খোলা আছে। গ্রাহক যারা আসছেন, সেবা নিতে পারছেন, কাজে সমস্যা হচ্ছে না। জানা যায়, এখন থেকে ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে ৬টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকও এই সময় মেনে চলবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শুক্রবার ও শনিবার।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে লেনদেন আগের নিয়ম মেনেই চলবে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলেবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং হবে। দাফতরিক সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এতদিন ব্যাংকে লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং অফিসের সময় ছিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত। জ্বালানি সংকটের সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকার সময়সূচিতে এই পরিবর্তন এনেছিল। চলতি মাসের শুরুতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসসূচি আগের সময়ে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে আগের সূচিতে ফিরেছে ব্যাংকও।