ছাত্রী বিক্ষোভের মুখে গতকাল রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। তবে ফারহানা খানম সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাকে চার ঘণ্টা রুমে আটকে রেখে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আমি পদত্যাগ করিনি। পদত্যাগপত্র আমলে না নিতে শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। আন্দোলনরত ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও টিসি দেওয়ার হুমকি দিয়ে নানাভাবে চাপে রেখেছিলেন তারা। একই সঙ্গে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে।
তাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার সংস্কারের দাবিতে বর্তমান শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে আন্দোলন করছিল। পরে দুপুরে ভিকারুননিসা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তাদের কয়েকজনকে অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বসে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে। ড. ফারহানা খানম অভিযোগ করে বলেন, আমাকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে পদত্যাগপত্রে সই নিয়েছে। অধ্যক্ষ কেকা রায়কেও জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ড. ফারহানা জানান, আমি পদত্যাগ করিনি। পদত্যাগপত্র আমলে না নিতে শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ২০২০ ব্যাচের এইচএসসি উত্তীর্ণ ছাত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই শিক্ষকরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটু মন্তব্য করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিও প্রমাণিত হয়েছে। এসব নিয়ে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করলে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।