আজ বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের মাছিমদিয়ায় এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় শিল্পী সুলতানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে কোরআন খতম, সকাল ৮টায় শিশুস্বর্গ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সকাল ৯টায় শিল্পী এস এম সুলতানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া মাহফিল, সকাল সাড়ে ৯টায় শিশুস্বর্গে শিশুদের অঙ্কিত চিত্রকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শিশুস্বর্গ মিলনায়তনে শিল্পী এস এম সুলতানের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ, বেলা ১১টায় পটগান। শিল্পী সুলতানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি শারমিন আক্তার জাহান।
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘষামাজার মধ্য দিয়ে ছোট বেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাঙ্কনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়। গুণী এই শিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁর নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা। দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার, অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নড়াইলের মাছিমদিয়ায় নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে সমাহিত করা হয়।