ভারতের আগরতলার বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। সহকারী হাইকমিশনে হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
নয়তো বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের এমবাসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে সার্বভৌমত্বের বাংলাদেশ অর্জন করেছি আমরা। কিন্তু তখন থেকে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছিল। ’২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে সেটা কবর দিয়েছি। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়ে তাকে পুনর্বাসন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।’
তিনি ভারতের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন আমাদের তিনদিক থেকে ঘিরে আছেন। আপনাদের চারদিকে ঘিরে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান চীনসহ অন্যান্য দেশ। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তারাও প্রতিবাদ করবে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করে। তারা নাকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। মূলত পাকিস্তান থেকে আলাদা করে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে সেই আশায় তারা সহায়তা করেছিল।’ তিনি ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানান এবং হাইকমিশনে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যের পতন হয়েছে বলে জানান ঢাবি শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া। তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানান। শাকিল তার বক্তব্যে বলেন, ‘হাসিনা থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশের বন্দরগুলো নামমাত্র মূল্যে ব্যবহার করত। কিন্তু এখন তা পারছে না। যার জন্য তাদের মাথা গরম হয়েছে।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ১৬ বছর থেকেই সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান সরকারকে যেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজে আসে।