খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণ দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকাল ৪টায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের নিচ তলায় কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় বিপুলসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। এর আগে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিসিকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে রবিবার বিকালে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার ও কুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষক। তারা অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে অনড়। শিক্ষার্থীরা জানান, ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস’র দাবির কর্মসূচিতে হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে চলমান সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানান পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার।
তিনি বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তবে অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, কুয়েট সিন্ডিকেট যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে তাদের নাম প্রকাশ করছে না। এ তালিকায় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামও রয়েছে। মূলত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে নাম প্রকাশ করা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে।