খুলনা মহানগরীতে উদ্বেগজনক হারে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। পাড়ামহল্লায় মাদকের বেচাকেনায় প্রভাব বিস্তারে কিশোর গ্যাং, অভিনব পন্থায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে, মোটরসাইকেলে প্রেস স্টিকার লাগিয়ে, কখনো স্কুল-কলেজের ইউনিফর্ম পরে, পাগল-ভিখারি বা হকার সেজেও মাদকের ব্যবসা চালানো হয়। সহজলভ্য হওয়ায় মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সেই সঙ্গে মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে প্রতিনিয়ত হামলা, হত্যাকাে র মতো ঘটনা ঘটছে। ফাঁসানো হচ্ছে মামলায়। ফলে প্রায়ই অশান্ত হয়ে উঠছে খুলনা মহানগরী। এ অবস্থায় মাদক কারবারি ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদকবিরোধী সমাবেশ ও র্যালির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
গতকাল নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে দলের প্রেস ব্রিফিংয়ে মাদক প্রতিরোধে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহানগরী বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা। তিনি বলেন, মাদকের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত খুলনা মহানগরী। যার প্রধান শিকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। মাদকসেবীর সংখ্যা উদ্বেগের। মাদক নিরাময় কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, আসক্তের ৭০ শতাংশই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। যাদের বয়স ১৪-২২ বছরের ভিতর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।