টানা পতনে ফের অস্থির শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে পড়ে বাজারে চলছে ব্যাপক বিক্রির চাপ। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম নিম্নতম লেনদেন।
গতকাল দিনের শুরুতেই নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায় সূচকে। সকাল থেকেই বেশিরভাগ শেয়ারে বিক্রির চাপ থাকায় সূচক ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকে। তারপর কয়েকবার সূচক ওঠার চেষ্টা করলেও সেল প্রেসারের কারণে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৩৯ পয়েন্ট কমে যায়।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৬১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯২টির। ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে গত ২৯ এপ্রিলের পর বাজারটিতে সব থেকে কম লেনদেন হলো। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারির শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা।