বগুড়ার গাবতলী উপলজেলার কাগইল। প্রায় ২০ বছর আগে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সহজ করতে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন হয়। ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি। বৈষম্যের শিকার হয়েছে প্রকল্পটি। এতে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হয়েছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাখো মানুষ। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে অন্তত ২০ কিলোমিটার সড়ক। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হাসপাতালটি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে ওই জায়গায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যা কাগইল ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
স্থানীয়রা জানান, জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে তাদের অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হয়। এখানে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হলে আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। তাই দ্রুত নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তারেক রহমান যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করলাম। আপাতত প্রতি মাসে তিন দিন এখানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। চিকিৎসাসেবা দেবেন বগুড়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন জানান, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতেই ২০০৬ সালে এখানে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।