প্রতারণার মাধ্যমে হাজী এয়ার ট্রাভেলসের ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফ্লাইট এক্সপার্টের চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন ও চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সারাহ ফারজানা হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফ বিল্লাহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত উভয়ের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২ আগস্ট মতিঝিল থানার আরেক প্রতারণার মামলায় এ দুজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বাদীর প্রতিষ্ঠান হাজী এয়ার ট্রাভেলসের সঙ্গে আসামিদের টিকিট বিক্রয়-সংক্রান্ত চুক্তি হয়। চুক্তির পর বাদীর প্রতিষ্ঠানের আইএটা কোড ব্যবহার করে আসামিরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে টিকিট বিক্রয় করে আংশিক টাকা পরিশোধ করে। এভাবে পাওনা টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৮ টাকা হয়।
এ ঘটনায় এই বছরের ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈমকে প্রধান আসামি করে ৫ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় এ কে এম সাদাত হোসেন ও সাঈদ আহমেদ এজাহারনামীয় আসামি।