ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে রয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা নিয়ে আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই বলে জানিয়েছে ইসি। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকূল পরিস্থিতির তথ্য আসেনি। সংবিধান ও বিদ্যমান আইন নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আরপিও সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পরই চূড়ান্ত হয়েছে। অন্য কোনো আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সমন্বয় করা হবে। ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত কতটুকু আপনাদের অনুকূলে আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, শতভাগ অনুকূলে আছে, আমরা মনে করছি।
সারা দেশে ভায়োলেন্স চলছে। তারপর অনুকূলে কীভাবে থাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কই? ভোট না হওয়ার মতো প্রতিকূল কোনো অবস্থা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি? জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কমিশন মনে করে না। এরপর একজন সংবাদিক প্রশ্ন করেন ভোট কি সময়মতো হবে? জবাবে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা তো অলরেডি আমাদের রোডম্যাপ দিয়েছি। রোডম্যাপ কথা বলতেছে।
নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের কয় তারিখে হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ তফসিল ঘোষণা করার আগে বলা যায় না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে পাঁচটি থেকে ছয়টি করা হয়েছে এবং বাগেরহাট জেলায় একটি আসন কমিয়ে চারটি থেকে তিনটি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪৬টি আসন ছোটখাটো পরিবর্তন এসেছে।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানার পুনর্নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হয়েছে, এ বিষয়টি নজরে আনলে ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সীমানা নিয়ে আন্দোলন কারা করছে, কেন করছে, তারা কী বলতে চাচ্ছে আমরা সেটা এখনো জানি না, আমাদের নলেজে নাই। আর এ বিষয়গুলো হলো আঞ্চলিকতার প্রশ্ন, রাজনৈতিক বিষয়। এখন সেগুলো স্থানীয়ভাবে কীভাবে সমাধান হবে। আরও কিছু সময় গেলে বোঝা যাবে। তিনি বলেন, কমিশন সর্বোচ্চ সতর্কতা, নিরপেক্ষতা এবং যৌক্তিক বিষয় বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই গেজেট প্রকাশ করেছে।