নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচিতে অংশ নেবে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার তিস্তা পাড়ের লক্ষাধিক মানুষ, নদী অধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। গতকাল বেলা ১১টায় রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক চুক্তি হয়নি। এ বিষয়টিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে চীন কাজ করছে। আমরা জেনেছি, চলতি বছরের শেষে চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি ও ঋণ চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার কথা দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেনি। আমরা চাই নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরে নিজস্ব কোষাগারের ২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হোক। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার যারাই আসবে, সেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। এ কাজের জন্য জরুরি প্রয়োজন আগামী একনেক সভায় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা। তিনি জানান, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর ১১৫ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামুসজ্জামান সামু প্রমুখ।