লালমনিরহাটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করা সিভিল সার্জন, চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স।
লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, জনসাধারণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস আতঙ্কে আছেন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, আমরা সবার থেকে বেশি হুমকির মধ্যে আছি। হাসপাতাল থেকে একটি কাপড়ের নরমাল মাস্ক দিয়েছে। এখনো গাউন ও ক্যাপ পাইনি। তবে যে মাস্ক দেয়া হয়েছে, সেগুলো আসলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। এভাবেই আমাদের কাজ করে যেতে হচ্ছে। আবার বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গেও থাকতে হচ্ছে। এতে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার-পরিজনদের মধ্যেও একটা ভয় কাজ করছে।
জেলার এক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলছেন। কিন্তু আমরা যে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী দেখছি, এটাও তো এক প্রকার জনসমাগম। আর সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে আছি আমরা। কারণ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সেই সঙ্গে আমাদের কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই।
চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের হাতে এখনো সে রকম কিছু আসেনি। হাসপাতালের নিজস্ব অর্থায়নে ২০০ মাস্ক, ১০০ ক্যাপ ও ৫০টি গাউন বানাতে দেয়া হয়েছে। এসব সামগ্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে অন্যান্য সাধারণ রোগীর তেমন ভিড় নেই। অনেকে আবার ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছেন। একই চিত্র দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। তবে হাসপাতালগুলোয় জ্বর, সর্দি, কাশির রোগীরা আসছেন বলে জানান কর্মরত চিকিৎসকরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন