করোনাযোদ্ধা হিসেবে ফ্রন্টলাইনে কাজ করছে পুলিশ। সেই ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধাদের নিয়ে ব্যতিক্রমী ভাস্কর্য নির্মাণ করছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ। এটি নির্মিত হচ্ছে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত পুলিশ অফিসার্স মেস ভবনের সামনে। দৃষ্টিনন্দন কংক্রিটের এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন ভাস্কর শেখ মো. দুলালাউদ্দিন। ভাস্কর্যটি এখনো পুরো সম্পূর্ণ না হলেও এটি দেখতে ভিড় করছে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের মুজিব সড়কের পুলিশ লাইন্সের সামনে অবস্থিত পুলিশ অফিসার্র মেসের সামনে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ শুরু হয় কয়েকমাস আগে। মূল ভবনের সামনে ৬ ফুট উচু একটি বেদির উপর তিনটি ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি ভাস্কর্যের দূরত্ব রয়েছে চারফুট। তিনটি ভাস্কর্যের প্রতিটির উচ্চতা ১২ ফুট করে। মূল ভাস্কর্যের অবয়বটি একজন পুরুষ পুলিশ সদস্যের। তার একহাতে একটি হ্যান্ডমাইক। অন্যহাতে ওয়াকিটকি। বা পাশে রয়েছে একজন নারী পুলিশ সদস্য। তার হাতে রয়েছে মাস্ক। অন্যপাশে রয়েছে আরেক পুলিশ সদস্য। তার হাতে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তিনটি ভাস্কর্যের মুখেই রয়েছে মাস্ক।
এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন ভাস্কর্য শিল্পী শেখ মো. দুলালউদ্দিন। তিনি জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে ভাস্কর্যের কাজ শুরু করেছেন তিনি। লোহার উপর কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ভাস্কর্য। নির্মাণ শেষ হতে আরো কয়েক মাস লাগবে বলে জানান তিনি। শিল্পি দুলালউদ্দিন জানান, করোনাকালীন সময়ে পুলিশ সাধারণ মানুষের জন্য যেভাবে জীবন বাজি রেখে এগিয়ে এসেছে তাতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বেড়েছে। করোনাকালীন সময়ে পুলিশ হয়ে উঠেছিল ‘করোনাযোদ্ধা’। সেই জন্যই ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘করোনাযোদ্ধা’ ভাস্কর্যটি।
পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সারাবিশে্ব করোনা নামের যে মহামারী চলছে তাতে অনেক পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছে। পুলিশও করোনাকালীন সময়ে যথাসম্ভব মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা রয়েছে সম্মুখসারিতে। ভবিষ্যতে হয়তো করোনাকে মেনে নিয়েই বসবাস করতে হবে। তখন এই ভাস্কর্য মানুষকে সচেতন হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সাহায্য করবে। আর এ কারণেই জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘করোনাযোদ্ধা’ নামের এ ভাস্কর্যটি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন