১৬ মে, ২০২১ ১২:৪০

'যুক্তরাষ্ট্রের টিকা চাইলেই পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না'

অনলাইন ডেস্ক

'যুক্তরাষ্ট্রের টিকা চাইলেই পাঠিয়ে দেওয়া যাবে না'

সম্প্রতি ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত অনেক টিকা বাক্সবন্দি আছে। কিন্তু তা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের দেশগুলোকে পাঠানো বাস্তবেই অধিক জটিল ব্যাপার। কারণ মডার্নার টিকা কোনো একক গুদামে সংরক্ষণ করা নেই, যে চাইলেই তা পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর মতে এখনো ৬ কোটি অতিরিক্ত টিকা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। যার মধ্যে মডার্নার কমপক্ষে ২ কোটি ৭০ লাখ ডোজ এবং ফাইজারের ৩ কোটি ৫০ লাখ ডোজ। বেশির ভাগ অব্যবহৃত টিকা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে হাজার হাজার স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেসব স্থানে এগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

টিকাগুলো রাজ্যের বিভিন্ন স্থাপনা, স্থানীয় ফার্মাসি, টিকাদান কেন্দ্র এবং অন্যান্য সব স্থান। এসব স্থান থেকে টিকাগুলো নতুন করে সংগ্রহ করে তা দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণহীন বা আনম্যানেজেবল এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে প্রচেষ্টা তা খর্ব হতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করা ফাইজারের কিছু টিকা বিদেশে পাঠানো হচ্ছে।

এছাড়াও সামনের সপ্তাহ বা মাসগুলোতে জনসন অ্যান্ড জনসন (জেঅ্যান্ডজে) এবং এস্ট্রাজেনেকার অব্যবহৃত কয়েক লাখ ডোজ বিদেশে পাঠানো হবে। তবে কবে- এমন কোনো নির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে টিকার যে বিপুল অব্যবহৃত সম্ভার আছে সেখান থেকে ভারতের মতো প্রচণ্ডসঙ্কটে থাকা দেশগুলোকে টিকা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক ও মেডিসিনের প্রফেসর মোনিকা গান্ধী বলেছেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদার অতিরিক্ত টিকা সরবরাহ দেখতে পাচ্ছি। তিনি তার কমপক্ষে দু’ডজন সহকর্মীর সঙ্গে একটি যৌথ চিঠিতে মডার্নার এসব টিকা ভারতে পাঠানোর জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।'

 

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির

সর্বশেষ খবর