কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করল ইউএনডিপি এবং আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)। আজ শুক্রবার ইউএনডিপির আয়োজনে ‘ইনক্লুডিং মাইগ্রেন্টস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন দ্য সোসিও-ইকোনোমিক রিকভারি: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম দ্য আইওএম-ইউএনডিপি পার্টনারশিপ অন দ্য কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো উপস্থাপনকালে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার নগদ টাকা ও খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সাত কোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান করেছে। সরকার ৮ লাখ ৮৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যার বাস্তবায়ন চলমান।
মো. মহসীন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস-কল্পে সরকার গৃহীত নানামুখী উদ্যোগে বাংলাদেশ বিগত দশকে উন্নয়নের সুবিধা অর্জন করতে পেরেছে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অব্যাহত রাখতে পেরেছে। কোভিড বৈশ্বিক মহামারি সময়েও গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার গত বছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ুগঠিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে এবং তদানুযায়ী কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ চলমান। ইউএনডিপির প্রতিনিধি ডেভিড খৌদুর বাংলাদেশ সরকারের এই কৌশলপত্রের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
আইওএম'র মহাপরিচালক অ্যান্টোনিও ভিটোরিনো কুড়িগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ এর সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের গন্তব্য নির্ধারণে যে পদ্ধতির পাইলটিং করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন। তিনি এ পদ্ধতি অন্যান্য স্থানেও বাস্তবায়ন করার বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন। আইওএম ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে পাইলটকৃত এ বাস্তুচ্যুতি ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাস্তুচ্যুত মানুষের গতিবিধি এবং তাদের প্রয়োজন নিরূপণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র: সরকারি তথ্যবিবরণী
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ