২২ জুন, ২০২১ ১৭:০৪

করোনায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা

বেনাপোল প্রতিনিধি

করোনায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা

প্রতীকী ছবি

করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। কর্মরত শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারী প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা না হলে হুমকির মুখে পড়বে বেনাপোল বন্দর।

বন্দরের পণ্য আমদানি-রফতানির সাথে বন্দরের শ্রমিক ছাড়াও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক-কর্মচারী, ট্রান্সপোর্ট মালিক-শ্রমিক, ট্রাকের চালক ও সহকারীসহ প্রায় ৭/৮ হাজার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।

সরকার বছরে বেনাপোল ববন্দর থেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকেন। গত ১৯ জুন থেকে বেনাপোলে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার পরও করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভারতীয় ট্রাকচালকদের পাশে থেকে কাজ করছে শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ হাজার বিভিন্ন পেশার কর্মজীবি মানুষ। এতে তাদের শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফলে বেনাপোলে আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক বলা হলেও বেসরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক বলে মনে করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন। বেনাপোলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বড়আঁচড়া, নামাজগ্রাম এবং দীঘিরপাড় এলাকা।

জ্যামিতিকহারে বৃদ্ধি পাওয়া সংক্রমণ এড়াতে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকসহ আমদানি ও রফতানি কার্যক্রমের সাথে জড়িত সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বেনাপোল বন্দরে দুই দেশের পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপারদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় বেনাপোলে সংক্রমণ বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সিএন্ডএফ এজেন্টের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালকরা সরাসরি প্রবেশ করছেন বেনাপোল বন্দরে। এ কারণে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা জরুরি।

এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খাঁন বলেন, বেনাপোল দেশের সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর। বন্দর ব্যবহারকারী সকল সদস্যকে নিরাপদ রাখতে হবে। বন্দরে পণ্য খালাস প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সকল সংগঠনের সদস্যসহ কাস্টমস এবং বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ টিকা প্রদানের আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দ্রুততম সময়ে এটা করা সম্ভব হলে বেনাপোল বন্দর এলাকায় করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার কারণে সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর এলাকায় সংক্রমণ একটু বেড়ে গেছে। বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সকলকে টিকা প্রদান করার জন্য বন্দরের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর