শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চায় বিএনপির তৃণমূল

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চায় বিএনপির তৃণমূল

ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। শহর ছাড়িয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জে। কারা থাকছেন জেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে— এমন আলোচনা বিএনপি নেতা-কর্মীর মধ্যে যেমন আছে, তেমনি আলোচনা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলেও। ফরিদপুর বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে চারটি গ্রুপ এখন প্রকাশ্যে। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা কমিটিতে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে লবিং অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি যারা রাজনীতিতে একেবারেই নিষ্ক্রিয় তারাও যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তবে ফরিদপুরে বিএনপিকে শক্তিশালী অবস্থানে দেখতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। এজন্য তারা দলীয় চেয়ারপারসনের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।

সবশেষ ২০০৮ সালে ফরিদপুর বিএনপির কমিটি গঠন হয়েছিল। সে সময় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের চেষ্টা হলেও এক পক্ষের দ্বারা সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। সেইসময় এ কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ওই কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও নানা জটিলতা সৃষ্টি এবং ‘পদ আঁকড়ে’ থাকার কারণে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও সম্মেলন করা যায়নি। এবার দলীয় চেয়ারপারসনের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে নতুন কমিটি করার। ফলে জেলার নেতারা নড়েচড়ে বসেছেন। তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, নতুন কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চান তারা। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাত করে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন তাদের কমিটিতে রাখা হলে তা প্রতিহত করা হবে। তারা আরও জানান, এক সময় ফরিদপুর বিএনপির ঘাঁটি থাকলেও তা এখন অক্ষত নেই। কোন্দল, নেতা-কর্মীর নীবর ভূমিকা এবং ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কতিপয় নেতার আঁতাতে সে দুর্গে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিএনপির দুর্গ ঠিক রাখতে হলে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। ঘরে বসে যারা ‘ফেসবুকনির্ভর’ রাজনীতি করে তাদের বয়কট করতে হবে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার পরই ঘোষণা হতে পারে ফরিদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি। এখন পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন— নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহাবুবুল হাসান ভুইয়া পিংকু। সাধারণ সম্পাদক পাওয়ার আলোচনায় রয়েছেন— জেলা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আলী আশরাফ নাননু, জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সম্পাদক একেএম কিবরিয়া স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।

সর্বশেষ খবর