সুনামগঞ্জে বছরের পর বছর আহ্বায়ক কমিটিতে আটকে আছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম। তিন মাস মেয়াদের জন্য গঠিত অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটির কোনোটির হয়ে গেছে যুগপূর্তি। দীর্ঘদিন এক ব্যক্তির হাতে নেতৃত্ব থাকায় দল ও অঙ্গ সংগঠগুলো কোন্দলে জর্জরিত। দলীয় সূত্র জানায়, ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের শর্তে ২০১৪ সালের এপ্রিলে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়। আহ্বায়কের দায়িত্ব পান দিরাই-শাল্লার সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তিন বছর পেরিয়ে গেলেও পদ-পদবি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় একাধিকবার দিনক্ষণ ঠিক করেও কাউন্সিল হয়নি। সম্ভব হয়নি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদের দাবিদারদের অনুসারীরা দ্বিধা-ত্রিধা বিভক্ত। জেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ কারা পাবেন— এ নিয়ে তিন বছরেও ঐক্যে পৌঁছাতে পারেননি নেতারা। এক পক্ষ চাইছে এই তিন পদে জেলা সদরের নেতাদের বসাতে। এই পক্ষের মূলে রয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া। তাঁকে সমর্থন করছেন জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ, সাবেক সহ-সভাপতি নাদির আহমদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর শওকত, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম নূরুল। অপরপক্ষে আছেন ছাতক, দিরাই, তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার নেতারা। তাদের অন্যতম হলেন— কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কালিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ছাতকের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক, ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব খান। যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলও দীর্ঘদিন ধরে চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। বিএনপি নিজেদের মধ্যে বুঝাপড়া করতে না পারায় অঙ্গ সংগঠনগুলোতেও কোন্দল চলছে। সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙে ২০১১ সালে আনসার উদ্দিনকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়ে সুনামগঞ্জ যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। দ্বিধাবিভক্তির কারণে ছয় বছরেও কমিটি করা যায়নি বেশির ভাগ উপজেলা-পৌরসভায়। একইভাবে ২০১০ সালে নূরুল ইসলাম নূরুলের নেতৃত্বে গঠিত জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি এখন ত্রিধাবিভক্ত। ২০০২ সালের পর কাউন্সিল হয়নি কৃষক দলের। আর তিন সদস্যের জেলা আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ২০১২ সাল থেকে চলছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রম। সুনামগঞ্জ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল মনসুর শওকত বলেন, দলের ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে জেলা সদর থেকে ভাইটাল পোস্টগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা দরকার।’ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ জানান, যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হলে কোন্দল কমিয়ে আনা সম্ভব। সুনামগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভুল বুঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে কমিটি করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যদি তাদের (কেন্দ্রের) পছন্দ না হয় অন্য কাউকে দায়িত্ব দিক। দলের স্বার্থে সরে যেতে আমি রাজি।’
শিরোনাম
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- টেলিগ্রাফ কিনতে ৫০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি স্বাক্ষর করলো ডেইলি মেইল
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
- গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি
আহ্বায়ক কমিটিতে আটকে আছে দল ও অঙ্গ সংগঠন
সুনামগঞ্জ বিএনপি
মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর