বুধবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটে অফিস বারান্দায় পাঠদান

মাজেদ রহমান, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে অফিস বারান্দায় পাঠদান

পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে চলছে পাঠদান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শ্রেণি কক্ষ এবং ওয়াশ রুমের অভাবে জয়পুরহাটের কালাই এবং পাঁচবিবি  উপজেলার অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে কোনো বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে, কোনোটির বারান্দায় আবার কোনো বিদ্যালয়ের উঠানে, চট বিছিয়েই চলছে পাঠদান। পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুমের অভাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের। অভিভাবকসহ ভুক্তভোগীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন।

পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের অভাবে অফিসেই চলছে শিশু শ্রেণির পাঠদান। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায়, মেঝের উপরে পাশাপাশি গাদাগাদি করে বসেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ফলে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান অন্যদিকে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে। শুধু পুর-কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই নয়, একই ধরনের সমস্যায় উপজেলার থুপসারা, সড়াইল, একডালা, মূলগ্রাম, বেগুনগ্রাম, কাথাইল-গোপিনাথপুর, গঙ্গাদাসপুর ও শিব-সমুদ্রসহ অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। উপজেলার পুর-কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা জোহরা জানান, কক্ষের অভাবে অফিসেই শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। পাঠদান চলাকালে পরিদর্শকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ে আসলে, বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় অফিসকক্ষে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাজ লেগেই থাকে। তখন কোমলমতি শিশুরা পাঠে অমনযোগী হয়।  তিনি আশা করেন, কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করবেন।

জেলার পাঁচবিবির সীমান্তের পাড়ে বাগজানা ইউনিয়নের কয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে অফিস রুমেই চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অফিস রুমেই ৫ম শ্রেণির ২২ জন ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করছে। বিদ্যালয়ে অফিস ও শ্রেণিকক্ষ মিলে ৪টি রুম। প্রথম শিফটে শিশুশ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সমস্য হয় না, কেবল দ্বিতীয় শিফটে শ্রেণিকক্ষের সংকট হয় বলেন প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা বেগম। কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইতিয়ারা পারভীন জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শ্রেণি কক্ষের সঙ্কটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ বরাবর অন্তত ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন ঘরের বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে, অচিরেই এসব সঙ্কট দূর হবে।

সর্বশেষ খবর