মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

নীলফামারী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার

আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডিম-মাংসের মাধ্যমে আমিষের যোগান নিশ্চিত করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ছয় বছর আগে নীলফামারীতে তৈরি করা আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার। প্রায় তিন একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত খামারটি স্থাপনে ব্যয় হয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে খামারের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি। নেই উৎপাদন। আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সেখানে কর্মরত সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ২০১৩ সালে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণ করা হয় সাতটি লেয়ার শেড, একটি বুডার শেড, অফিস ভবন, চারতলা ডরমেটরি। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৪২৮ বাচ্চা ফোটানোর দুটি ইনকিউবেটর। রয়েছে একটি হ্যাচারি ভবন, একটি সেলস সেন্টার, গ্যারেজ, জেনারেটর রুম, একটি ডিপ টিউবয়েলসহ আরও কিছু অবকাঠামো। খামারের ডাক অ্যাটেনডেন্ট কছিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি টাঙ্গাইল থেকে এসে এখানে চাকরি করছি। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো পর্যন্ত সবকিছুই আমাকে দেখতে হয়। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। শুনছি খামারটি আবার চালু হবে। কিন্তু চালু আর হয় না’। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শেখ এমএ মতিন ব্যবস্থাপক হিসেবে খামারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে সারা দেশে ১৪টি হাঁস প্রজনন খামার স্থাপন করা হয়। প্রাণিজ সম্পদের উন্নয়নে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পুষ্টি ও মেধাবী জাতি গঠনে খামারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতো। সেই সঙ্গে জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলায় ডিম ও মাংস রফতানি করা সম্ভব ছিল। গত বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না।’ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন- ‘প্রকল্প শেষ হওয়ার পর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে খামারটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি স্বল্প পরিসরে কিছু কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে খামারটি চালু রেখেছেন। সম্পূর্ণভাবে চালু করতে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। সরকারও খামারটি চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর