আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরে এক লাখ ৭৩ হাজার ২১৪টি পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এবার দিনাজপুরে প্রায় এক লাখ ৮ হাজার ৪১৭টি কোরবানির পশু প্রয়োজন হবে বলে জানায় জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৬৪ হাজার ৭৯৭টি গবাদিপশু। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে এসব পশুর ভালো দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। কয়েকজন খামারি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা হয়েছে। এর প্রভাব সারা দেশেই পড়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে খামারিরা শঙ্কায় রয়েছেন। জানা যায়, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে দিনাজপুরের খামারিরা পুষ্টিকর খাবার, খৈল, গম, ভুসি, ছোলাসহ সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটা তাজা করছেন। এ কাজ মনিটরিংসহ সচেতনতামূলক পরামর্শ দিচ্ছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। দিনাজপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম জানান, জেলায় কোরবানির জন্য গরু ও মহিষ এক লাখ ১ হাজার ৯৬৫টি এবং ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৭১ হাজার ২৪৯টি। দিনাজপুরে আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রয়োজন গরু-মহিষ ৮২ হাজার ৩৩০টি এবং ছাগল-ভেড়া ২৬ হাজার ৮৭টি।
এই কর্মকর্তা জানান, বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউপির মুরারীপুর গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গবাদিপশু পালন করা হয়েছে। সবাই আশা করছেন ভালো দাম পাওয়ার।