মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

দীর্ঘদিন আন্দোলনে শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস হয় না

অচল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

নিয়োগবিধি অনুযায়ী এক শিফট ক্লাস নেওয়ার কথা শিক্ষকদের। কিন্তু নিতে হচ্ছে দুই শিফটে। এই দ্বিগুণ কাজের পারিশ্রমিক ঠিকমতো পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছেন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। মাসের পর মাস শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়া পলিটেকনিকে। প্রথম শিফটের ক্লাসও বন্ধ হওয়ার পথে। জানা যায়, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হলেও এর জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি বাড়তি শিক্ষক-কর্মচারী। প্রথম শিফটের ক্লাস নেওয়া শিক্ষকরাই দ্বিতীয় শিফট চালাচ্ছেন। বাড়তি ক্লাসের জন্য তাদের ২০১৫ সালের স্কেল অনুযায়ী মূল বেতনের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু কয়েক মাস আগে পরিপত্র জারি করে ২০০৯ সালের স্কেল অনুযায়ী মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্চেন শিক্ষকরা। শিক্ষক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা ক্লাস নিতে হয়। কিন্তু এই শ্রমের ন্যায্য মূল্য দেওয়া হচ্ছে না।’ আরেক শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, ‘দ্বিতীয় শিফটের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে তাদের নিয়োগবিধি অনুযায়ী বেতন দিতে হবে। অথচ একই কাজ করে আমরা শুধু ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ চাইছি’। এদিকে মাসের পর মাস ক্লাস বন্ধ থাকায় আন্দোলনে নেমেছেন দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস ছেড়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রথম শিফটের শিক্ষার্থীরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘১৩ মাস ধরে আমাদের ক্লাস হয় না।’ একই শিফটের হাসান শাহরিয়ার বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। তবে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রাখতে হবে। আশা করি সরকার বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করবে।’

সর্বশেষ খবর