রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাগমারায় গরিবের ভাতার টাকায় ভাগ

বিচারকের হস্তক্ষেপে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাগমারায় গরিবের ভাতার টাকায় ভাগ

রাজশাহীর বাগমারায় তালিকাভুক্ত ভাতাভোগীদের টাকার একটি অংশ হাতিয়ে নেন তিন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক। ছুটিতে থাকা একজন বিচারকের হস্তক্ষেপে সেই টাকা উদ্ধার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে গতকাল পুরো টাকা ভাতাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের নতুন তালিকাভুক্ত প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীদের মধ্যে টাকা বিতরণের জন্য গত বৃহস্পতিবার জনতা ব্যাংক মোহনগঞ্জ শাখায় ডেকে পাঠানো হয়। ব্যাংকের ওই শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে বলে জানানো হয়। ওইদিন সকালে তালিকাভুক্তরা ব্যাংকে এলে তিন ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের গাড়িচালক তাদের ডেকে স্থানীয় মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বারান্দায় নিয়ে বসিয়ে রেখে বলেন এখানে টাকা দেওয়া হবে।

অভিযোগ আছে, ব্যাংকের অফিস সহায়ক রেন্টু হোসেনের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের স্বাক্ষর জাল ও স্বজন পরিচয় দিয়ে টাকা তুলেন ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক, মজনুর রহমান, সাবদুল হোসেন ও গাড়িচালক হাসান আলী। তারা এক হাজার করে টাকা রেখে ভাতাভোগী ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করেন। টাকায় ভাগ বসানো হচ্ছে- জানতে পেরে ওই এলাকার বাসিন্দা আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সিনিয়র সহকারী বিচারক হুমায়ন কবির ঘটনাস্থলে আসেন। এরই মধ্যে ১৮১ জনের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা পকেটে পুরেন অভিযুক্তরা। বিচারকের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সটকে পড়েন। হুমায়ন কবির মোবাইল ফোনে বিষয়টি ইউএনওকে জানান। ইউএনওর নির্দেশে গতকাল অভিযুক্তরা তার দফতরে আসেন। ব্যাংক থেকে ভাতাভোগীদের পক্ষে টাকা তুলে নেওয়া ও ওই টাকায় ভাগ বসানোর কথা স্বীকার করেন। পরে এক লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা ফেরত দেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়াবেন না বলেও মুচলেকা দেন। দীর্ঘদিন এভাবে ভাতা বিতরণ করছেন বলে তারা জানান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বিষয়টি জানার পর টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেন। ইউএনও জাকিউল ইসলাম জানান, ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অপরাধ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। টাকা পাওয়ায় ভাতাভোগীদের কোনো অভিযোগ নেই বলে তাকে জানানো হয়েছে। ব্যাংকের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর