রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুশ্চিন্তায় চামড়া ব্যবসায়ীরা

প্রতিদিন ডেস্ক

দুশ্চিন্তায় চামড়া ব্যবসায়ীরা

ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারি মালিকের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিভিন্ন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার চমড়া কেনার টাকার জোগান কীভাবে হবে, চামড়ার দামই বা কেমন হবে এই ভেবে দিন কাটছে তাদের। বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ ও দিনাজপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর- বগুড়া : গত বছর সর্বনিম্ন রেকর্ড দরে চামড়া ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিলেন। বিক্রেতারাও উপায় না পেয়ে কম দামেই চামড়া বিক্রি করেছেন। এ বছর কী হবে তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চামড়ার মালিক, ফড়িয়া ও ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে চামড়ার দাম বেঁধে দেওয়া হলেও বগুড়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো তারা বকেয়া টাকা পাননি। বগুড়া চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বলছেন, জেলায় সব মিলিয়ে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাবেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। নাটোর : ট্যানারি শিল্প মালিকদের কাছে বকেয়া প্রায় শত কোটি টাকা না পেয়ে দিশাহারা নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রতিষ্ঠান ধোয়ামোছা করলেও অর্থের সংস্থান করতে না পারায় এবার চামড়া কেনা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা। ফলে চলতি মৌসুমে চামড়া ব্যবসায় নজিরবিহীন ধসসহ পাচার হওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা। নওগাঁ : নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকদের থেকে বিগত বছরের বকেয়া না পাওয়ায় রয়েছেন আর্থিক সংকটে। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসা করছেন। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে বাজারে চামড়ার দাম কম। এ বছর চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত পাঁচ বছরে ট্যানারি মালিকদের কাছে নওগাঁর ব্যবসায়ীদের প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

দিনাজপুর : ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারি মালিকের কাছ থেকে পাওনা টাকা না পাওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসা নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা। ৯ কোটি টাকা পাওনা থাকায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শ্রমিক ও লবণের ঊর্ধ্বমূল্য। এ অবস্থায় সঠিক দাম না পেলে অধিক মুনাফা লাভের আসায় চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর