করোনা প্রভাবের ফলে ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্রে চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। গেল এক সপ্তাহ আগে যেখানে ১০০ জন মানুষ আসত না। সেখানে এখন ২০০ জন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গতকাল সকাল থেকে দুুপুর পর্যন্ত শহরের চারটি বিক্রয় পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। আগত লোকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কোনো কোনো কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন কেজি করে। শহরের কলেজ স্টেশন পয়েন্টে আটা নিতে আসা রিকশাচালক অসিয়ার রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে খুব সমস্যা হচ্ছে। শহরে এখন লোকজন নাই। আয় কমে গেছে। এ এলাকার ডিলার আসাদুজ্জামান বেলাল বলেন, চাহিদা অনেক বেশি। আগে যেখানে ১০০ জন আসতেন। এখন ২০০ জন আসছেন। ফলে পাঁচ কেজির পরিবর্তে তিন কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে যেন দেওয়া যায়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, সপ্তাহে দু’দিন করে পাঁচজন ডিলার পাঁচ টন আটা বিক্রি করে থাকেন। এরমধ্যে ডিলার প্রতি এক টন করে। শুক্রবার বাদে সপ্তাহের ছয় দিন শহরের ১৫ ডিলার ১৫টি পয়েন্টে এসব আটা বিক্রি করে থাকেন। এসব কেন্দ্রে আজ থেকে চাল বিক্রিও শুরু হবে।