শিরোনাম
বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় পাটবীজ বোঝাই ৫৭ ট্রাক

লোকসানের শঙ্কা আমদানিকারকদের

বেনাপোল প্রতিনিধি

ভারত থেকে আমদানি করা পাটবীজ বোঝাই ৫৭টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে পেট্রাপোলে। এসব বীজের ট্রাক গ্রহণ করার জন্য প্রতিদিন বেনাপোল কাস্টমস এবং বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিরা অপেক্ষা করছেন দিনের পর দিন। করোনাভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় পাটবীজ আমদানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। দু-একদিনের মধ্যে এ পাটবীজ আমদানি না হলে দেশের বাজারে মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে চলতি পাট মৌসুমের জন্য পাঁচ হাজার টন বীজ ও এক হাজার ৫০০ টন নেস্তা বীজ আমদানির (আইপি) অনুমতি দেয় গত ১৮ মার্চ। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৮৩৫ টন পাট ও নেস্তা বীজ আমদানি হয়েছে ভারত থেকে। পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুরো ভারত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য গত ২২ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। খুব জরুরি হওয়ায় পাটবীজগুলো রপ্তানির দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ট্রাকচালকরা কোয়ারেন্টাইনে থাকার ভয়ে বাংলাদেশে যেতে রাজি হচ্ছেন না। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল সেন্ট্রাল পার্কিংয়ে আমার বীজ ভর্তি সাতটি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। দু-একদিনের মধ্যে এসব বীজ না আমদানি হলে প্রতি ট্রাকে ৪-৫ লাখ টাকা লোকসান হবে। বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় কাস্টমস রপ্তানি করলে পাট ও নেস্তা বীজ আমদানিতে বাংলাদেশ কাস্টমসের কোনো আপত্তি নেই। যদি আমদানি হয়, দ্রুত শুল্কায়ন শেষে খালাসের ব্যবস্থা করা হবে। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত থেকে পাট ও নেস্তা বীজ যদি আমদানি হয় তাহলে চেকপোস্টে স্বাস্থ্যকর্মীর দ্বারা জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালক এবং হেলপারদের হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিশ্চিত হয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর